ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

মামুন অ্যাগ্রোর ৫৮ কোটি টাকার হিসাবের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক

২০২৫ মে ০৮ ০৯:৩৮:৩৮
মামুন অ্যাগ্রোর ৫৮ কোটি টাকার হিসাবের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানির আর্থিক হিসাবে দেখানো ৫৮ কোটি টাকার হিসাবের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক। তবে কোম্পানিটিতে আয়কর অধ্যাদেশ ও শ্রম আইনের লঙ্ঘন পেয়েছে নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার মজুদ পণ্য ও ৮২ লাখ টাকা নগদ ছিল বলে দেখায়। তবে দেরিতে (৯ অক্টোবর ২০২৪) নিয়োগ দেওয়ায় নিরীক্ষক স্বশরীরে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেননি। এছাড়া বিকল্প উপায়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পায়নি নিরীক্ষক। যাতে ওই মজুদ পণ্য ও নগদ অর্থের তথ্যে যে বড় ধরনের কোন গরমিল নেই, সেরকম প্রমাণাদি পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এদিকে একই কারনে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করা গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও কাঁচামাল সরবরাহকারীদেরকে অগ্রিম দেওয়া ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি নিরীক্ষক। ওইসব গ্রাহক ও কাঁচামাল সরবরাহকারীকে চিঠি দিলেও সবার জবাব পাননি। তাই আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করা গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা ও কাঁচামাল সরবরাহকারীদেরকে অগ্রিম দেওয়ার বিষয়টিতে বড় ভুল তথ্য নেই, তা নিশ্চিত হতে পারেননি নিরীক্ষক। একইভাবে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের বকেয়া দেখানো ৭৪ লাখ টাকার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি নিরীক্ষক।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অনেক সময় কাঁচামাল ক্রয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট পেঅ্যাবল চেকের পরিবর্তে নগদে লেনদেন করে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

মামুন অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত সময়ে সিভিল অ্যান্ড ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে প্রকাশিত প্রসপ্রক্টোসে ১৮ মাসে সিভিল অ্যান্ড ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছিল। যা ওই সময়ে শেষ হয়নি।

আরও পড়ুন....

৬১ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে ১৪ কোটির গরমিল হিসাব

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মামুন অ্যাগ্রোতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৯৪ লাখ টাকা রয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগের ৫৯ লাখ টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।

কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। তারপরেও আগের ফান্ড ৯ মাস শেষেও কর্মীদের মধ্যে বিতরন না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মামুন অ্যাগ্রোর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (০৭ মে) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৯.১০ টাকায়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে