শেয়ার কারসাজির ফাইন ফুডসের কৃত্রিম মুনাফা
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে শেয়ার কারসাজির আলোচিত কোম্পানি ফাইন ফুডস। ব্যবসায়িক পারফরমেন্স ভালো না হলেও শেয়ার দর আকাশ চুম্বি। এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শেয়ার দর নিয়ে কারসাজির জন্য কৃত্রিম আর্থিক হিসাব দেখিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে মুনাফা বেশি ও সম্পদ বেশি দেখিয়ে আসছে। যা কোম্পানিটির নিরীক্ষকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে স্বল্প মূলধনী ফাইন ফুডসের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শেয়ারটিকে ২০০ টাকার উপরে তুলে আনা হয়েছে। যার সঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগসাজোশ রয়েছে। তারা শেয়ারটি নিয়ে কারসাজিতে সহযোগিতা করতে কৃত্রিম আর্থিক হিসাবসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। তবে সম্প্রতি উচ্চ মূল্যের শেয়ারটি থেকে বিক্রির পাঁয়তারার অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে অস্বাভাবিক মুনাফা দেখিয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীরা এ ফাঁদ বুঝতে পারায় কোম্পানিটির মুনাফা ৩৭৬ শতাংশ উত্থান দেখানোর পরও গত দুইদিনে শেয়ারটির দর কমেছে ২৪.৪০ টাকা বা ১১ শতাংশ।
গত ১৫ জুন বিকেলে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ১.৮১ টাকা হয়েছে বলে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৩৮ টাকা। এতে করে মুনাফা ১.৪৩ টাকা বা ৩৭৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। এমন উত্থানের খবর প্রকাশের পরে ২ কার্যদিবসই শেয়ারটির দর পতন হয়েছে।

ফাইন ফুডসের অস্বাভাবিক মুনাফা দেখেই ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীরা বলাবলি করতে শুরু করে এবার শেয়ার পার্কিং করবে অথবা সাধারন বিনিয়োগকারীদের খাওয়াবে। যে কারনে অতিরঞ্জিত মুনাফা দেখানো হয়েছে। যাতে সাধারন বিনিয়োগকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তবে ফাইন ফুডসের এবারের ফাঁদ আগেই বুঝতে পারায় রক্ষা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
এর আগে কারসাজির আরেক অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে মুনাফার থেকে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ। এ কোম্পানির ওই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৮৮ পয়সা মুনাফা হলেও লভ্যাংশ ঘোষণা করে ১ টাকা করে। তবে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা এতোটাই উদার যে, তারা লভ্যাংশ নেয়নি। শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ওই লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এদিকে কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আয়, বাকিতে বিক্রি বাবদ পাওনা ৯১ লাখ টাকা, কাঁচামাল ক্রয় ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ও ফিঙ্গারলিঙ্ক ক্রয়ে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এসব লেনদেনের প্রায় সব নগদে করেছে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি। ফলে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের অভাব ও নগদে করার কারনে, ওইসব লেনদেনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক। যাতে ওইসব লেনদেনকৃত তথ্য মিথ্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ক্যাপিটাল স্টক দেখিয়েছে ৩০ লাখ টাকা। তারা হিস্টোরিক্যাল কস্ট ভ্যালুতে এই সম্পদ দেখিয়েছে। যা সরাসরি আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৪১ লঙ্ঘন। তারা ওই সম্পদের প্রকৃত মূল্য বিবেচনায় নেয়নি। তবে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে কি পরিমাণ ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, নিরীক্ষক তা বলতে পারেনি।
এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। এরমধ্যে ফিঙ্গারলিংবাবদ ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও ক্লোজিং কাঁচামালবাবদ ১ কোটি ৬ লাখ টাকার (মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) বিষয়ে নিরীক্ষককে নিরীক্ষা কাজে সহযোগিতা করেনি। ফলে স্বশরীরে এবং বিকল্প নিরীক্ষা প্রক্রিয়া দিয়েও নিরীক্ষক ওই সম্পদের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ফলে কোম্পানিটির মজুদ পণ্য হিসেবে ও বিক্রিত পণ্যের ব্যয় (কস্ট অব গুডস সোল্ড) হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষকের মন্তব্য অনুযায়ি এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যদি কস্ট অব গুডস সোল্ড কম দেখিয়ে থাকে, তাহলে নিট মুনাফা অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে। যা শেয়ার কারসাজির এ কোম্পানিটির জন্য অস্বাভাবিক না।
আরও পড়ুন.....
উৎপাদন সক্ষমতার ব্যবহারের অভাবে বড় লোকসানে ম্যাকসন্স
এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদের অস্তিত্ব যাচাইয়ে তালিকা বা রেজিস্টার দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। ফলে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে দেখানো স্থায়ী সম্পদের প্রকৃতপক্ষে অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেননি নিরীক্ষক।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ হস্তান্তর করেনি ম্যাকসন্স স্পিনিং। কোম্পানিটিতে ৮ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে।
এসব বিষয়ে শেয়ারাবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, অর্থবছর শেষে নিরীক্ষকের মতামতসহ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশনে আসে। যা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাচাই-বাছাই করে। এতে কোন অনিয়ম বা অসঙ্গতি পেলে, কমিশন আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফাইন ফুডসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৮৪.৭৫ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৯৪.৮০ টাকায়।
পাঠকের মতামত:
- চমকে দিলেন ফারিণ
- বিডি থাই ফুডের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি
- লুজারের শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
- গেইনারের শীর্ষে বিডি থাউ ফুড
- ব্লক মার্কেটে ১৩ কোটি টাকার লেনদেন
- বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে পতন
- লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
- অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের লভ্যাংশ বিতরণ
- এপিএসসিএল বন্ডের কূপণ রেট ঘোষণা
- এজিএম এর তারিখ জানিয়েছে সিকদার ইন্স্যুরেন্স
- এমারেল্ড অয়েলের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি
- বড় স্কোর গড়েও হারলো ভারত
- বিএসইসির নির্দেশনা মানছে না কনফিডেন্স সিমেন্ট
- ইন্ট্রাকোর স্পটে লেনদেন শুরু
- সাত কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লেনদেনে ফিরেছে ৪ কোম্পানি
- বিডি থাই ফুডের ব্যবসায় ধস ১৭৩৩ শতাংশ
- ‘আমাকে ভয় দেখানো হয়েছিল’
- শাড়িতে মোহময়ী অপু বিশ্বাস
- জিল বাংলার অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি
- রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ বিতরণ
- ব্লক মার্কেটে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন
- লুজারে লিজিং কোম্পানির আধিপত্য
- গেইনারে দূর্বল কোম্পানির দাপট
- পতনে ফিরে গেল শেয়ারবাজার
- আরেকটি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
- দুলামিয়া কটনের এজিএম স্থগিত
- সাবসিডিয়ারিতে মূলধন দেবে ব্যাংক এশিয়া
- বিশ্বসেরা কোয়ান্টাম প্রযুক্তির জিপিএইচ ইস্পাতের পতন
- চার কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- চার কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লেনদেনে ফিরেছে ৩ কোম্পানি
- সোনার দাম কমলো
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম
- বারডেমের চিকিৎসায় কৃতজ্ঞ আল-আমিনের স্বজনরা
- কোটি কোটি টাকা আত্মীয়দের দিয়ে গেলেন ধর্মেন্দ্র
- ব্লক মার্কেটে ২০ কোটি টাকার লেনদেন
- লুজারের শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
- গেইনারের শীর্ষে বিবিএস ক্যাবলস
- লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
- দুইদিনের বড় পতনের পরে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে উত্থান
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং মান প্রকাশ
- সালভো কেমিক্যালের ট্রেডিং কোড পরিবর্তন
- আল-হাজ টেক্সটাইলের লভ্যাংশ সভার তারিখ ঘোষনা
- জিপিএইচ ইস্পাতের লভ্যাংশ ঘোষনা
- সোনার দাম আরও বেড়ে ভরি ২১২১৪৫ টাকা
- শাস্তি পেতে যাচ্ছে কে অ্যান্ড কিউ
- পাঁচ কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- তিন কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লেনদেনে ফিরেছে ৫ কোম্পানি
- লুজারের শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স
- বিপিএল নিলামে সর্বোচ্চ দাম পেলেন যারা
- গেইনারের শীর্ষে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম
- অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরার জল্পনা
- পেশাগত জায়গায় ব্যক্তিগত বিষয় আলোচনা করতে চাই না
- এ কোন লুকে পলাশ-ইভানা
- শেয়ারবাজারে বড় পতন
- ব্লক মার্কেটে লেনদেন তলানীতে
- লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
- দুই কোম্পানির লভ্যাংশ সভার তারিখ ঘোষনা
- টেকনো ড্রাগসের ক্রেডিট রেটিং মান প্রকাশ
- মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পার্পেচ্যুয়াল বন্ডের কূপণ রেট ঘোষণা
- গোল্ডেন সনের লোকসান বেড়েছে ৪৫৭ শতাংশ
- ভ্যানগার্ড ফান্ড ওয়ানের ‘নো’ ডিভিডেন্ড
- সিলকো ফার্মার মুনাফা কমেছে ৬ শতাংশ
- বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
- ৯ কোটি টাকার জিকিউ বলপেনের ৮ বছরে ২৭ কোটি লোকসান
- পাঁচ কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লুজারের শীর্ষে লুব-রেফ
- সাউথইস্ট ব্যাংকে এমডি নিয়োগ
- গেইনারের শীর্ষে বিডি থাই ফুড
- সালভো কেমিক্যালের এমডির শেয়ার কেনার ঘোষনা
- ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও মূল্যসূচকের পতন
- ব্লক মার্কেটে ১০ কোটি টাকার লেনদেন
- পাঁচ ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা নিঃশ্ব, চেয়ে চেয়ে দেখল মাকসুদের ‘শাস্তি কমিশন’
- আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের উচ্চ দরে ইস্যু আনা : এখন বেহাল দশা
- আড়ালে বিএসইসির চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সমালোচনা : সামনে ভূয়সী প্রশংসা
- বড় মূলধনী-গেম্বলিং ৩৫ কোম্পানি ছাড়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- কমিশনের বিদায় বেলায় মূল্যসূচক নামল ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে
- এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ : তদন্তে দুদক
- বিএসইসিকে পরাধীন করার পাঁয়তারা : হারাতে পারে আইওএসকো’র সদস্যপদ
- চালু আছে ৯৩% কোম্পানি, লভ্যাংশ দিচ্ছে ৭৮%
- আরও ২৩ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- ৯ মাসের ব্যবসায় ৫১ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে
- বিএসইসির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে
- এবার ডিএসইর পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হেলাল : রয়েছে ষড়*যন্ত্রকারী নাহিদ
- দেখে নিন ২০ কোম্পানির লভ্যাংশ
- বেক্সিমকোসহ সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিওতে আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ














