বড় শাস্তির মুখে কনফিডেন্স সিমেন্ট

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্ট শাস্তির আওতায় আসছে। শেয়ারহোল্ডারদেরকে বঞ্চিত করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে ৭০ শতাংশের বেশি মুনাফা রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে। যে কারনে কোম্পানিটিকে রেখে দেওয়া ওই মুনাফার উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।

কনফিডেন্স সিমেন্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১১.২৩ টাকা হিসাবে ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসেবে মোট ৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ৮.৯১ শতাংশ। মুনাফার বাকি ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৯১.০৯ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে।

মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে রিটেইন আর্নিংসে রাখতে চাওয়ায় ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার উপরে ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে কনফিডেন্স সিমেন্টকে।

এর আগের অর্থবছরে কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি ৮.৭৩ টাকা হিসাবে ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১০ শতাংশ হিসেবে ৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা ছিল মুনাফার ১১.৪৬ শতাংশ। মুনাফার বাকি ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৮৮.৫৪ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হয়।

উল্লেখ্য কনফিডেন্স সিমেন্টের বর্তমানে ৮৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.৬৬ শতাংশ। রবিবার (০৯ নভেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫০.০০ টাকায়।