ঢাকা, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

মাকসুদের নেতৃত্বে শেয়ারবাজার অতল গহ্বরে

২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৪:৫১:১৮
মাকসুদের নেতৃত্বে শেয়ারবাজার অতল গহ্বরে

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজার অব্যাহত পতনে রয়েছে। এমন পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ৫ হাজারের নিচে নেমে গেছে। তারপরেও এই অযোগ্য রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে অপসারন করছে না সরকার। এছাড়া নিজেও পদত্যাগ না করে নির্লজ্জভাবে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে মাকসুদ কমিশন। যাতে প্রতিনিয়ত ধংস হতে হতে অতল গহ্বরের দিকে ধাবিত রয়েছে।

এই কমিশনের পদত্যাগের মাধ্যমে যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, তা কয়েক দফায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার অপসারন হচ্ছে বলে শেয়ারবাজারে কয়েকবার গুজব উঠে। যার উপর ভিত্তি করে প্রতিবারই বিনিয়োগকারীরা আশাবাদি হয়ে উঠেছিল এবং শেয়ারবাজার ইতিবাচক হয়েছিল। কিন্তু তার অপসারন বাস্তবে রুপ না পাওয়ায়, শেয়ারবাজার আবারও পতনের ধারায় ফিরে গেছে।

এই মাকসুদ কমিশন গত ১৫ মাস ধরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সংস্কার করছে। তবে তারা যতই সংস্কার করছে, ততই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে করে বর্তমান কমিশনের সংস্কার এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অপসংস্কার হিসেবে ধরা দিয়েছে। যে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কিছু করতে না পারলেও শুরু থেকে বিভিন্ন জনকে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বিএসইসিকে ‘শাস্তি কমিশন’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।

শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিনিয়োগকারীরা মাকসুদের অপসারণ চান। যার অপসারণেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের। কারন মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

রবিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮৭৩ পয়েন্টে। এর আগের দুই কার্যদিবসের পতনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৪১ পয়েন্ট ও বুধবার ২৩ পয়েন্ট কমেছিল।

আজ ডিএসইতে ২৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা বিগত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে চলতি বছরের ১৫ জুন সর্বশেষ আজকের চেয়ে কম বা ২৬৩ কোটির ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৭ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১০ টি বা ২৮.৪২ শতাংশের। আর দর কমেছে ২০৯ টি বা ৫৪.০১ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬৮ টি বা ১৭.৫৭ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে রবিবার ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৪ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৭ টির, কমেছে ৯৯ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৮ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৮৫ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১১৪ পয়েন্ট কমেছিল।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে