ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২

ঋণ বাড়ালেও ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের গ্লোবাল হেভীর ব্যবসায় মন্দা

২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ০৯:৩০:০৬
ঋণ বাড়ালেও ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের গ্লোবাল হেভীর ব্যবসায় মন্দা

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সমর্থিত অপসোনিন গ্রুপের গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস ধংসের পথে। কোম্পানিটির উন্নতির জন্য বাড়ানো হচ্ছে ঋণ। তবে ফলাফল হচেছ উল্টো। যা কোম্পানিটিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সমর্থকরা বিভিন্নভাবে দেশকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এরমধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আওয়ামী ঘরনার বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকরাও আছে। যারা ওইসব কোম্পানিকে কাজে লাগিয়ে শেয়ারবাজারকে অস্থিতিশীল করতে চায়। গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস নিয়েও এমন সন্দেহের দানা বেঁধেছে। কারন তাদের অন্যসব প্রতিষ্ঠান ভালো চললেও শেয়ারবাজারের কোম্পানিটিই শেষ ২ বছরে ভয়াবহ মন্দার মধ্যে পড়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, অপারেশনাল ব্যয় পরিচালনা ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে কোম্পানিটির ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এরমাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৯১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তারপরেও কোম্পানিটির পণ্য বিক্রিতে উন্নতি হয়নি। বরং অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এ কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ২২ লাখ টাাক। যা ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ৯১ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৩৮ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের ৭৪.৪২ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেমে এসেছে ৩১.৩২ কোটি টাকায়। এক্ষেত্রে ৫৮% বিক্রি কমেছে।

বিক্রি কমায় কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লোকসান কমেছে। আগের অর্থবছরের ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লোকসান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেমে এসেছে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকায়।

আরও পড়ুন...

চরম অর্থ সংকটে ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস

কোম্পানি আইন অনুযায়ি নিরীক্ষক নিয়োগে বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হয়। তবে গ্লোবাল হেভীর এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র গত ১৬ জুনে পর্ষদের অনুষ্ঠিত সভার আলোকে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং-কে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানিটিতে প্রভিডেন্ট ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ওই ফান্ড নিরীক্ষকের পর্যালোচনার জন্য তুলে ধরা হয়নি।

এসব বিষয়ে জানতে কোম্পানি সচিব খন্দকার আহাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান। তিনি বলেন সবকিছু আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের বাহিরে কোন কথা বলব না। কোম্পানিতে কর্তৃপক্ষের অনিয়ম লুকাতে মন্তব্য করবেন না কিনা-এমন প্রশ্নেও বলেন কোন মন্তব্য করবেন না। এছাড়া কোম্পানিকে ধংস করার জন্য দায়ী কারা, কিভাবে অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে, কেনো বিনিয়োগকারীদেরকে ফকির বানানো হলো, অপসোনিনের অন্যান্য কোম্পানি ভালো চললেও এ কোম্পানির অবস্থা খারাপ কেনো- এসব কোন কিছুরই উত্তর তিনি দেননি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভীর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) মালিকানা ৩১.৪০ শতাংশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২০.২০ টাকায়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে