যে কারনে শাস্তি পেতে যাচ্ছে একমি পেস্টিসাইডস

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমি পেস্টিসাইডসের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফার ৩০ শতাংশের কম বা ১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে ৭০ শতাংশের বেশি মুনাফা রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে। যে কারনে কোম্পানিটিকে রেখে দেওয়া ওই মুনাফার উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। যা হবে কোম্পানিটির প্রায় ১ শতাংশ লভ্যাংশের সমান।

একমি পেস্টিসাইডসের পরিচালনা পর্ষদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষণা করা ০.১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের তথ্য ৪ এপ্রিল ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যা কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুনাফার ১ শতাংশ।

তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে।

একমি পেস্টিসাইডসের ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৯৬ টাকা হিসাবে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ০.১০ শতাংশ হিসেবে শেয়ারপ্রতি ১ পয়সা করে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ১.০৪ শতাংশ। বাকি ১২ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৯৮.৯৬ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে।

মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে একমি পেস্টিসাইডসকে। যা কোম্পানিটির ০.৯৫ শতাংশ লভ্যাংশের সমান। অর্থাৎ কোম্পানিটি জরিমানা দেবে, তাও শেয়ারহোল্ডারদের দেবে না।

উল্লেখ্য একমি পেস্টিসাইডসের বর্তমানে ১৩৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.২০ শতাংশ। রবিবার (০৭ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২২.২০ টাকায়।