দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের যে হার দাঁড়িয়েছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশই এখন খেলাপি। ভারত, পাকিস্তান ও এমনকি শ্রীলঙ্কার খেলাপি ঋণের হার এত বেশি নয়।
দেশের ব্যাংকগুলোতে গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তিন মাসেই ব্যাংক–ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, এসব ঋণের একটি অংশ বেনামে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খেলাপি ঋণের আসল চিত্র বেরিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম ভারতের। জুলাই প্রান্তিক শেষে দেশটির মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ২ দশমিক ৮ শতাংশ। দেশটির খেলাপি ঋণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০১০ সালে ভারতের খেলাপি ঋণ ছিল ১০ শতাংশ, এরপর তা কমতে কমতে এখন ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতির মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি যেমন শক্তিশালী অবস্থানে আছে, তেমনি তাদের আর্থিক খাতও শক্তিশালী।
এরপর খেলাপি ঋণের অনুপাত সবচেয়ে কম নেপালের। জুলাই প্রান্তিক শেষে দেশটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হারই আবার এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দুটি দেশ হলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর এখন ঋণ পুনর্গঠন করছে। পাকিস্তানও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেইলআউট নিয়েছে। কিন্তু এই দুটি দেশের খেলাপি ঋণের হারও বাংলাদেশের চেয়ে কম।
পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের দ্বিতীয় অর্থাৎ এপ্রিল–জুন প্রান্তিক শেষে দেশটির খেলাপি ঋণের হার আগের প্রান্তিকের তুলনায় কমেছে। এই সময় দেশটির খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ; আগের প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিক শেষে যা ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের খেলাপি ঋণ এযাবৎকালের সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৭ শতাংশে ওঠে। এরপর ধারাবাহিকভাবে তাদের খেলাপি ঋণ কমেছে। একই সময়ে পাকিস্তানের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৪০ শতাংশ।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে শ্রীলঙ্কার খেলাপি ঋণের হার ১২ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে দেশটির খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে দেশটির খেলাপি ঋণ কমেছে। ২০২২ সাল শেষে দেশটির খেলাপি ঋণের হার ছিল ১২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের বৃদ্ধি বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এতে দেশের উৎপাদনশীল খাতে অর্থায়ন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এরা নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়। তবে পরিচালনাসংক্রান্ত দুর্বলতার কারণে তারা বেসরকারি খাতে দক্ষতার সঙ্গে ঋণ দিতে পারছে না।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ও বিনিয়োগের হারের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ১ শতাংশীয় বিন্দু বাড়লে মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশীয় বিন্দু বাড়ে। বিনিয়োগ বাড়লে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে দেশে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ যদি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের কাতারে উঠতে চায়, তাহলে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান সম্পর্কে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সর্বশেষ হিসাব পাওয়ার ফলে একধরনের স্পষ্টীকরণ হচ্ছে। খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্রটা বেরিয়ে আসছে। এত দিন ময়লা ঝেড়ে কার্পেটের নিচে রাখা হয়েছিল, এখন তা বাইরে বেরিয়ে এল। রোগ নির্ণয় হয়েছে, ফলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা সহজ হবে।
যাঁরা লুটপাটের উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মত দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁদের শেয়ার নিয়ে নেওয়া হয়েছে, এটা ভালো উদ্যোগ। এভাবেই ঋণ পুনরুদ্ধার করতে হবে। তবে যাঁরা ইচ্ছা করে খেলাপি হননি, তাঁদের বিষয়টি ব্যাংক–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে।
২০১১ সালে বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের হার ছিল মোট ঋণের ১ দশমিক ৯ শতাংশ। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০১৮ সালে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯ শতাংশে।
দক্ষিণ এশিয়ার মালদ্বীপ, ভুটান ও আফগানিস্তানের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মালদ্বীপের খেলাপি ঋণ ছিল ৬ শতাংশের কিছু বেশি। ভুটানের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৮ শতাংশের কিছুটা কম। আফগানিস্তানের সর্বশেষ হিসাব পাওয়া যায় ২০১৮ সালের। তখন তাদের খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
- লুজারের শীর্ষে রূপালী ব্যাংক
- গেইনারের শীর্ষে মনোস্পুল
- ব্লক মার্কেটে ২৬ কোটি টাকার লেনদেন
- লেনদেনের শীর্ষে মনোস্পুল
- মূল্যসূচকে পতন, লেনদেনে উত্থান
- ইনটেক লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ
- আগামীকাল বিডি ল্যম্পসের লেনদেন বন্ধ
- অনিয়মের দায়ে শাস্তি পেতে যাচ্ছে মনোস্পুল বাংলাদেশ
- ৫০ টাকা কাট-অফ প্রাইসের এশিয়াটিকের ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষনা
- ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান বেড়েছে ৮ শতাংশ
- এক্সিম ব্যাংকের লোকসান কমেছে ২২ শতাংশ
- এবি ব্যাংকের ব্যবসায় পতন ১৮৩১৬ শতাংশ
- রূপালি ব্যাংকের ব্যবসায় পতন ৪১৮ শতাংশ
- একনজরে দেখে নিন ১৮ কোম্পানির ইপিএস
- দেখে নিন ৯ কোম্পানির লভ্যাংশ
- ফাস ফাইন্যান্সের লোকসান কমেছে ২ শতাংশ
- ইমরানের চুমু কাণ্ডে স্কুলে হাসির খোরাক ছেলে
- বিয়ের প্রয়োজন নেই-হৃতিকের প্রেমিকা
- কোহিনুর কেমিক্যালের মুনাফা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ
- ‘এটা অপরাধ, পুলিশ পদক্ষেপ করুক’
- তামান্নাকে নিয়ে ছবি বানাবেন অনন্য মামুন!
- একনজরে দেখে নিন ৬ কোম্পানির ইপিএস
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে মিনহাজ মান্নানের অব্যাহতি
- দেখে নিন ৮ কোম্পানির লভ্যাংশ
- বিনিয়োগকারীরা হারালো ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা
- গত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ১১৭ কোটি টাকার লেনদেন
- সাপ্তাহিক লেনদেনের ২৮ শতাংশ ১০ কোম্পানির শেয়ারে
- সাপ্তাহিক লুজারের শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
- সাপ্তাহিক গেইনারের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
- ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও কমেছে
- লুজারের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
- গেইনারের শীর্ষে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল
- ব্লক মার্কেটে ১২ কোটি টাকার লেনদেন
- লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিশন
- ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালক ৪০ লাখ শেয়ার হস্তান্তর করবে
- এসিআইয়ের চেয়ারম্যানের শেয়ার কেনার ঘোষনা
- প্রিয়াঙ্কার গলায় অজগর
- মূল্যসূচকে উত্থান, লেনদেনে পতন
- প্রাইম ব্যাংকে সচিব নিয়োগ
- স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ বিতরণ
- মৃত্যুর আগের দিন তুষারকে খুঁজেছিলেন সালমান শাহ
- ভালো নেই হাসান মাসুদ
- এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৮৯ শতাংশ
- ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৬৩ শতাংশ
- আরএকে সিরামিকসের লোকসান বেড়েছে ৬৫ শতাংশ
- আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবসায় পতন ২৭১১%
- একনজরে দেখে নিন ৩১ কোম্পানির ইপিএস
- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মুনাফায় ধস
- প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের মুনাফায় ধস
- বিডি ফাইন্যান্সের ব্যবসায় উত্থান ১৬০ শতাংশ
- এসবিএসি ব্যাংকের মুনাফায় ধস
- একনজরে দেখে নিন ৯ কোম্পানির ইপিএস
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষনা
- তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের লভ্যাংশ ঘোষনা
- লুজারের শীর্ষে স্টাইলক্রাফট
- গেইনারের শীর্ষে দেশবন্ধু পলিমার
- ব্লক মার্কেটে ২৩ কোটি টাকার লেনদেন
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইসিএসবি নেতাদের সাক্ষাত
- হতাশার শেয়ারবাজারে ৮ পয়েন্টের উত্থান
- লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিশন
- তিন কোম্পানির অধঃপতন
- ৩৩ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় ধস ৫৩৬৩ শতাংশ
- ইউনিলিভারের মুনাফা বেড়েছে ১০ শতাংশ
- সোনার দাম নামলো ভরি প্রতি ১.৯৪ লাখে
- আইপিডিসি ফাইন্যান্সের মুনাফা বেড়েছে ৭৩ শতাংশ
- আইসিবি ইসলামীক ব্যাংকের লোকসান কমেছে ৩ শতাংশ
- এশিয়া প্যাসিফিকের মুনাফা কমেছে ১৫ শতাংশ
- ফার্স্ট ফাইন্যান্সের লোকসান বেড়েছে ১৬ শতাংশ
- ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের মুনাফা বেড়েছে ১০ শতাংশ
- যমুনা ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১ শতাংশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১৫ শতাংশ
- মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ৩৮ শতাংশ
- ওয়ালটনের ১৯তম এজিএম অনুষ্ঠিত
- দেখে নিন ১৬ কোম্পানির লভ্যাংশ
- আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের উচ্চ দরে ইস্যু আনা : এখন বেহাল দশা
- আড়ালে বিএসইসির চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সমালোচনা : সামনে ভূয়সী প্রশংসা
- বড় মূলধনী-গেম্বলিং ৩৫ কোম্পানি ছাড়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- কমিশনের বিদায় বেলায় মূল্যসূচক নামল ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে
- এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ : তদন্তে দুদক
- বিএসইসিকে পরাধীন করার পাঁয়তারা : হারাতে পারে আইওএসকো’র সদস্যপদ
- চালু আছে ৯৩% কোম্পানি, লভ্যাংশ দিচ্ছে ৭৮%
- আরও ২৩ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- ৯ মাসের ব্যবসায় ৫১ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে
- বিএসইসির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে
- এবার ডিএসইর পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হেলাল : রয়েছে ষড়*যন্ত্রকারী নাহিদ
- দেখে নিন ২০ কোম্পানির লভ্যাংশ
- বেক্সিমকোসহ সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিওতে আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ
- সাড়ে ৩ বছরেই ভেঙ্গে পড়েছে শিবলী কমিশনের আইপিওর কোম্পানিগুলো














