ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

চোকার্স আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়ন জয়

২০২৫ জুন ১৪ ২০:০২:১৬
চোকার্স আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়ন জয়

খেলাধূলা ডেস্ক : ‘চোকার্স’ তকমাটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য যেন ছিল নির্ধারিত। দীর্ঘ ২২ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ১৯৯২ বিশ্বকাপ। সেই থেকে এই দলটি যে কোনো টুর্নামেন্টে সব সময়ই ফেভারিট। সবচেয়ে সেরা এবং সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে খেলতে এসে কখনো বৃষ্টির বাধায়, কখনো অযাচিত কোনো পারফরম্যান্স করে বিদায় নিতে হয়। শিরোপা দেখাই মেলে না এই দলটির।

বিশ্বকাপে সেমিফাইনালই সর্বোচ্চ দৌড় ছিল প্রোটিয়াদের। সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ‘চোকার্স’ তকমা ঘোচাতে পারেনি। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে আসার পর সবারই প্রত্যাশা ছিল চোকার্স তমকাটা ঘোচাতে পারবে টেম্বা বাভুমার দল।

অবশেষে সোনার হরিণের দেখা পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। একটি হাতে তুলে নেয়ার চীরদিনের যে আকাঙ্খা, সবচেয়ে আরাধ্য সেই শিরোপার দেখা মিললো প্রোটিয়াদের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

সে সঙ্গে ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করতে সক্ষম হলো প্রোটিয়ারা। এর আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আপ্রিকা।

লন্ডনের বিখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৮২ রানের অবিশ্বাস্য এক লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে সেই অবিশ্বাস্য কাজটি করে দিলেন এইডেন মারক্রাম নামে একটি হিমালয় পর্বত। অস্ট্রেলিয়ান আগুনে পেস বোলিংয়ের সামনে হিমালয়ের মত দৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

২০৭ বলে ১৩৬ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেললেন মারক্রাম। টেস্ট ক্রিকেটে তো ৪০০ রানের ইনিংসও আছে। ৩০০ কিংবা ৩০০ প্লাস ইনিংস আছে অনেক। ম্যাচ জেতানো অনেক ইনিংসও আছে; কিন্তু এইডেন মারক্রামের এই ১৩৬ রানের ইনিংসটা স্রেফ ইতিহাস লিখলো। ইতিহাসের গতিপথ নির্ণয়কারী ইনিংস এটা। এই একটি ইনিংস না খেললে, আরও কতকাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপার অপেক্ষায় থাকতে হতো, কে জানে!

ম্যাচটা শেষ করে দিয়ে আসতে পারেননি হয়তো; কিন্তু জয়ের আসল কাজটি তিনিই করে দিয়ে গেছেন। শুধু সেঞ্চুরি করে ক্ষান্ত হননি, সঙ্গে আরও ৩৬ রান যোগ করে প্রোটিয়াদের সকল বিপদমুক্ত করেছেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধু এইডেন মারক্রামই নন, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। মারক্রামের সঙ্গে ১৪৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েন তিনি। চতুর্থ দিন সকালে তিনি ব্যক্তিগত ৬৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। তবে, তার আর মারক্রামের জুটিই প্রোটিয়াদের জয়ের পথ রচনা করে।

পাঠকের মতামত:

খেলাধূলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধূলা - এর সব খবর



রে