ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

অদক্ষতা সত্ত্বেও বিদায় নিচ্ছে না মাকসুদ কমিশন : প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা

২০২৫ এপ্রিল ৩০ ১৪:৫০:০৪
অদক্ষতা সত্ত্বেও বিদায় নিচ্ছে না মাকসুদ কমিশন : প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত ৩ সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার টানা পতন হচ্ছে। এরমধ্যে শেষ ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে ১২ কার্যদিবসই পতন হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তবে চলমান এই সমস্যা একমাত্র খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগের মাধ্যমে সমাধান। কিন্তু এই কমিশন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোকে পাত্তা না দিয়ে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে।

এই কমিশনের পদত্যাগের মাধ্যমে যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, তা গত রবিবার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওইদিন দুপুরে খবর আসে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে সরকারের পক্ষ থেকে পদত্যাগে চাঁপ দেওয়া হয়েছে। যে কারনে তিনি বিএসইসি থেকে বেরিয়েও গেছেন। এমন খবরে শেয়ারবাজার ঋণাত্মক থেকে ইতবাচকতার দিকে ধাবিত হয়।

দেশের শেয়ারবাজার টানা ৯ কার্যদিবস ধরে পতনে ছিল। যার ধারাবাহিকতায় রবিবারও শেয়ারবাজারে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বড় পতন দেখা যায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স ৫০ পয়েন্টের বেশি কমে গিয়েছিল। যা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল।

এরপরে রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের বিভিন্ন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই ইউটার্ন নিতে শুরু করে শেয়ারবাজার।

তবে বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করে তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি। তাই স্বাভাবিকভাবেই সোমবার থেকে শেয়ারবাজারে পতনে রয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান কমিশনের উপর কারোরই আস্থা নেই। এই কমিশন শেয়ারবাজারের কিছুই বুঝে না। এখন কেউই রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে চাচ্ছেন না। যাদের পদত্যাগে শেয়ারবাজারে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। এটা অনেক আগে থেকেই সবাই দাবি করে আসছে। সেই খবর যখন বাজারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শেয়ারবাজারের ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু উনি পদত্যাগ না করায় শেয়ারবাজার আগের চেহারায় ফিরে গেছে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯১৮ পয়েন্টে। যা আগের দিন কমেছিল ১৭ পয়েন্ট। এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার ৪৩ পয়েন্ট কমেছিল এবং রবিবার মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জনে ২৩ পয়েন্ট বেড়েছিল।

তবে এর আগের ৯ কার্যদিবসের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৫০ পয়েন্ট, বুধবার ৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ১৮ পয়েন্ট, সোমবার ৩০ পয়েন্ট, রবিবার ২৩ পয়েন্ট এবং আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৮ পয়েন্ট, বুধবার ২৬ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৩৮ পয়েন্ট ও সোমবার ৩৬ পয়েন্ট কমে। এই ৯ কার্যদিবসে ২৩৩ পয়েন্ট পতন হয়।

বুধবার ডিএসইতে ৩২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বা ১২ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৫৮ টি বা ৪০ শতাংশের। আর দর কমেছে ১৭৫ টি বা ৪৪.৩০ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬২ টি বা ১৫.৭০ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে মঙ্গলবার ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০০ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭১ টির, কমেছে ৯৭ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩২ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৮১৫ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট কমেছিল।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে