ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

বেছে বেছে ছাত্রলীগ নিয়োগ : তদন্তের নির্দেশ আদালতের

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৯ ০৯:৪৫:৪৩
বেছে বেছে ছাত্রলীগ নিয়োগ : তদন্তের নির্দেশ আদালতের

করোনা মহামারির সময় সারা দুনিয়া যখন স্থবির, তখন বাংলাদেশে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ১২৭ জনের বিশাল নিয়োগ দেয় কমিশন। এরমধ্যে বেশিরভাগই বেঁছে বেঁছে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগকে। এ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করে ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি একেএম আসাদুউজ্জামান এবং মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের বেঞ্চ ৫ সেপ্টেম্বর এই আদেশ দেন।

বিএসইসির নিয়োগ দেওয়া ১২৭ জনের বহরে বেশিরভাগের যোগ্যতাই ছিল ছাত্রলীগ করা। ওইসব ছাত্রলীগ কোটায় চাকরী পাওয়া কর্মীরা এখন বিএসইসির বোঝাঁ। যাদের নেই কোন মেধা, নেই কোন যোগ্যতা। তাই যে লক্ষ্যে বিএসইসিতে এই বিশাল নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। ফলে ওই নিয়োগ বাতিল করে যোগ্যদের বাছাই করে পূণঃনিয়োগ করার দাবি বাজার সংশ্লিষ্টসহ বিএসইসিরই কর্মকর্তাদের। যা নিয়ে গত ১৫ আগস্ট‘ছাত্রলীগকে বেছে বেছে নিয়োগ দেয় কমিশন : বাতিলের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয় অর্থ বাণিজ্যতে।

আদালত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকছুদ ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে এ আদেশ দিয়েছে। এ হিসাবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, যেখানে যোগ্যতা ছাত্রলীগ, সেখানে বিএসইসিতে নিয়োগ পাওয়া সেইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ছাত্রলীগরা মেধাবি না। এরা শুরুই করে চাঁদাবাজি দিয়ে ক্যারিয়ার। যাদের লক্ষ্যই ছিল অন্যর টাকা মেরে খাওয়া। তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা বোঁকামি।

সংশ্লিষ্ট দাবি, বাংলাদেশের ছাত্রলীগরা যে কি পরিমাণ মেধাবি হতে পারে, তা কিন্তু সবাই জানে। এরা বছরের পর বছর ফেইল করে একই ক্লাসে থাকে। ৪ বছরের কোর্স মেয়াদ ১০ বছরেও শেষ করতে পারে না। এমন ছাত্রলীগকে নিয়োগের মাধ্যমে বিএসইসিকে দীর্ঘমেয়াদে ধংস করা হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন অবসরে যাবে, তখন বিএসইসি এক প্রকার পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই তদন্ত মেষে ১২৭ জনের নিয়োগ বাতিল করে পূণ:নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

১২৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিশালসংখ্যক নিয়োগে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও সরকারি আদেশের তোয়াক্কা করেনি কমিশন। মহামারি করোনার কারণে সরকারি নির্দেশে যখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছিল, তখন তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনাও আমলে নেয়নি কমিশন। বিএসইসির চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ এবং বিভিন্নভাবে শেয়ারবাজার থেকে সুবিধাভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির দুজন অধ্যাপকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রও কমিশনে আসেনি।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে