ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

টোটকা ওষুধ দিয়ে শেয়ারবাজারের সমাধান হবে না : দেবপ্রিয়

২০২৫ মে ২৪ ১২:১১:৪৩
টোটকা ওষুধ দিয়ে শেয়ারবাজারের সমাধান হবে না : দেবপ্রিয়

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন আইপিও বন্ধ। এছাড়া এরইমধ‍্যে সূচকে অনেক পতনের মাধ‍্যমে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। এ সমস‍্যা টোটকা ওষুধ দিয়ে সমাধান হবে না। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ‍্যমে বড় উদ‍্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে।

শনিবার (২৪ মে) ডিএসই ব্রোকার্স অ‍্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আয়োজিত 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‍্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আর প‍্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সদস‍্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) যূগ্ন আহ্বায়ক ড. তাজনুভা জাবিন, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ অন‍্যান‍্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শেয়ারবাজার দিন আনি দিন খাইয়ের জায়গা না। এটা দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আশানুরপ বিনিয়োগ, সঞ্চয় ও কর্মসংস্থান করতে পারছে না। এছাড়া এই বাজার যাদের দ্ধারা পরিচালিত হয়, সেই বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, লিস্টেড কোম্পানি ঠিকমতো চলছে না।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে এই মূহুর্তে যে সমস্যা আছে এটা বৃহত্তর কাঠামোতে যদি আলোচনা না করি, তাহলে হবে না। আপনি যদি আলোচনা ছাড়া ঠিক সিদ্ধান্ত নেন, সেটাও ঠিক হবে না।

দেশের পুঁজিবাজার থেকে ২০১০-১১ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় দেবপ্রিয় বলেন, শাস্তি যদি না হয় অন্যায় ও দুর্নীতি রোধ করা যায় না। আমরা দেখেছি ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় শেয়ারবাজারে অনিয়ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় বাজার থেকে বিপুল অর্থ বের করে নেওয়া হয়। তার কোনো বিচার হয়নি।

তিনি বলেন, বিচার না হওয়ার কারণে আমরা ২০১০ সালে আবারও একই ধরনের চিত্র দেখেছি। রাজনৈতিকভাবে সিন্ডিকেট করে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই ঘটনারও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা অনিয়ম করেছেন তাদের কেউ কেউ জেলে আছেন। তবে তারা জেলে আছেন অন্য ঘটনায়। পুঁজিবাজারের অনিয়মের কারণে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে চালাক। সুতরাং আপনি যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আরও বেশি চালাক ব্যক্তিকে দায়িত্ব না দেন, তাহলে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে