ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

আটকে গেল বিএসইসি চেয়ারম্যানের যোগদান 

২০২৪ আগস্ট ১৪ ১৭:৫২:৫৬
আটকে গেল বিএসইসি চেয়ারম্যানের যোগদান 

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম মাসরুর রিয়াজেরযোগদানআটকে গেছে। তাকে নিয়ে উঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ উপদেষ্টা। এরপর নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবেবিএসইসির একজন নির্বাহি পরিচালক ও একজন কমিশনারব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে মাসরুর রিয়াজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন বলেও গুঞ্জন আছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএসইসির মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। তবে এরপরই বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিবাদ জানায়।সংগঠনটির এক সভায় মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান না কিনা এমন প্রস্তাবে উপস্থিত প্রায় সবাই হাত তুলে অসম্মতি জানান।

বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ মাসরুর রিয়াজ শিবলী সাহেবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিএসইসির রোড শোগুলোতে অংশ নিয়েছেন। শিবলী সাহেবের নানা বিতর্কিত পলিসির সমর্থকও ছিলেন। আর সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি অনেকেই জানে। যাদের একসঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। তাই কমিশনে তার যোগদানকে কর্মচারীরা স্বাগত জানাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার নিয়োগের প্রজ্ঞাপনকে বাতিল করার দাবি সভায় তোলা হয়।

তার বিষয়ে এসব অভিযোগ উঠায় বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের নির্দেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে মাসরুর রিয়াজ -কে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাসরুর রিয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া বিষয়টি স্বীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তবে মাসরুর রিয়াজকে নিয়ে এই দাবির পেছনে অনেকে ষড়যন্ত্র দেখছেন। এ বিষয়ে ডিএসইর পুরাতন এক ট্রেকহোল্ডার অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, মাসরুরকে না চাওয়ার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে একজন সিনিয়র নির্বাহি পরিচালকের কমিশনার হওয়া ও একজন কমিশনারের চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন বিফলে যাওয়া। যদিও এখনো ২টি কমিশনার পদ খালি রয়েছে। এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের নিয়োগ দেওয়া ২ জন কমিশনার এখনো রয়েছেন। যাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। কারন এরইমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের নিয়োগ দেওয়া চেয়ারম্যান ও ২ জন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন নিজেদের সম্মান বজায় রাখতে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিয়োগ বাতিল বা পদত্যাগে বাধ্য করতে না পারে।

ডিএসইর আরেক সিনিয়র ট্রেকহোল্ডার অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, বিএসইসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগকে নিয়ে গতকাল সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে কাজ করেছে, তা তারা করতে পারে না। এতে বিএসইসির কাঠামো ঠিক থাকবে না। যারা প্রতিবাদ করেছে চেয়ারম্যান নিয়োগের, তারাও কিন্তু অনিয়মে জড়িত এবং রোড শোতে অংশ নিয়েছে। এখন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার না হওয়ায় মাসরুরকে নিয়ে গতকাল প্রতিবাদ করেছে। অথচ এরাই দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোসহ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করে আসছে অন্যায়ভাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তার (মাসরুর রিয়াজ) বিষয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। সে বিষয়টি আমি দেখবো। দেখে দুই-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবো।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, মাসরুর রিয়াজ-কে গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে আজ সচিব মহোদয়ের দপ্তরের নির্দেশে ওয়েবসাইট থেকে সেই প্রজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে