ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ : সমাধানে মাকসুদের অপসারণের বিকল্প নেই

২০২৫ মে ২৮ ১৫:০৭:০৯
বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ : সমাধানে মাকসুদের অপসারণের বিকল্প নেই

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজার অব্যাহত পতনে রয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ ৬ কার্যদিবসের টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। কারন এরইমধ্যে মাকসুদ কমিশনের নেতৃত্বে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। তারপরেও এই অযোগ্য রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে অপসারন করছে না সরকার। অথচ তার অপসারণের কোন বিকল্প নেই বলে দাবি বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সব স্টেকহোল্ডারদের।

বিনিয়োগকারীরা জানান, এখন মূল দাবিই মাকসুদের পদত্যাগ। যার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের। কারন মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

এই কমিশনের পদত্যাগের মাধ্যমে যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, তা কয়েক দফায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দুই দফায় তার অপসারন হচ্ছে বলে শেয়ারবাজারে গুজব উঠে। যার উপর ভিত্তি করে শেয়ারবাজার ইতিবাচক হয়েছিল। কিন্তু তার অপসারন বাস্তবে রুপ না পাওয়ায়, শেয়ারবাজার আবারও পতনের ধারায় ফিরে গেছে।

বুধবারের (২৮ মে) পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২০ সালের ১১ আগস্টের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৪ বছর সাড়ে ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৪৫৩৩ পয়েন্টে।

আজ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬১৫ পয়েন্টে। যা মঙ্গলবার ৪১ পয়েন্ট, সোমবার ১৭ পয়েন্ট, রবিবার ১০ পয়েন্ট, শনিবার ৩৮ পয়েন্ট ও বৃহস্পতিবার ১৬ পয়েন্ট কমেছিল। এই ৬ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ১৮৫ পয়েন্ট।

আরও পড়ুন....

মাকসুদ কমিশনের ৯ মাসে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১.১৭ লাখ কোটি টাকা

বুধবার ডিএসইতে ২৬৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ২৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বা ৩ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৩ টি বা ১৫.৮৩ শতাংশের। আর দর কমেছে ২৯৫ টি বা ৭৪.১২ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৪০ টি বা ১০.০৫ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বুধবার ১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৪ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৮ টির, কমেছে ১৩৮ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৮ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০২৫ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ১০ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৫০ পয়েন্ট কমেছিল।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে